যে জিনিসটি দিয়ে বিনামূল্যে অন্যকে দারুণ উপকার করা যায় তা হচ্ছে— উৎসাহ। কারো খুব খারাপ সময় যাচ্ছে, কেউ কষ্ট-যন্ত্রণায় মরে যেতে চাচ্ছে, কেউ ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে হাল ছেড়ে দিতে চাচ্ছে— আন্তরিকতা ভরা একটু উৎসাহ তাকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারে। এই একটু উৎসাহের শক্তি প্রবল।
একদা ত্রিমুখী সংকটে মানসিকভাবে এলোমেলো হয়ে একটা ইয়ার ড্রপ দিয়েছিলাম। তখন নিজেও আন্তরিকতা ভরা একটু উৎসাহের খুব প্রয়োজনবোধ করেছিলাম।
জানেন? এই সময়ে যুবক-যুবতিদের আত্মদহন প্রচুর! যে কয়েকজনের কথাগুলো শোনার সুযোগ হয়েছে— রিলেশনশিপ ইস্যু, ফ্যামিলি ইস্যু, ক্যারিয়ার ইস্যু! আমাদের কমন সমস্যা কিন্তু সমাধান কমন না। করোনার পর থেকে ১১+ এই উদীয়মান মানুষের একান্ত কথাগুলো শুনে বুঝেছি— মনের দাম, আবেগের মূল্য, স্বপ্নের বাজারদর খুব নেমে গেছে এদেশে।
কাউন্সেলিং করার মতো যোগ্যতা এখনো নেই। শুধু ননজাজমেন্টাল হয়ে কয়েকজনের একান্ত কথাগুলো শোনার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি কথাগুলো শেয়ার করার মতো একটু আস্থার জায়গা হতে। ক্ষুদ্র জ্ঞান আর অল্পবুদ্ধি নিয়ে দুএকটু পরামর্শ দেয়ার দুঃসাহসও দেখিয়েছি কখনো কখনো। রব্বে কারীম ভুলত্রুটি মাফ করে কবুল করুন।
প্রজন্মের অবস্থা বেশি ভালো না ভাই! এদের অনেকে কী চায়, কেন চায় জানে না; জানে না পথ চলার গন্তব্যস্থল, পথের শেষে কী পাওয়া যাবে! শুধু জানে এই গড্ডলিকা প্রবাহে ছুটতে হবে। আর আশেপাশের মানুষগুলো— হতাশার দেয়ালে ধাক্কা খাওয়া প্রজন্মকে আরো হতাশা উপহার দেয়!
উন্মাতাল হয়ে উইপোকার মতো আলোর ফাঁদে ঝাঁপিয়ে পড়ছে গোটা প্রজন্ম। একটু ভুল করে, অন্যের মন রক্ষায় আরো ভুল, ভুলের কারণে আত্মগ্লানি, আত্মগ্লানি থেকে জীবনের প্রতি ক্লান্তি! এই হচ্ছে একটা প্রজন্মের মেন্টাল পিকচার।
ভাই, আমাদের ভাই-বোনদের উৎসাহ প্রয়োজন, সাপোর্ট প্রয়োজন। কটুকথায়, সমালোচনায় মন ভেঙ্গে দেয়ার তো বহু মানুষ আছে; তাদের ছোট বড় স্বপ্নকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার তো মানুষের অভাব নাই— চলুন আমরা একটু উৎসাহ দেয়ার মানুষ হই। ধাক্কা খাওয়া মানুষগুলো ফের গুছিয়ে উঠুক। মনে রাখতে হবে— উৎসাহের শক্তি প্রবল।
এই উদ্যমী মলিন মুখের মানুষগুলো একদিন গঠনমূলক কিছু করে দেখাবে ইনশাআল্লাহ। এখন তাদের পরিচয় নাই, পরিচিতি নাই। এই তারুণ্যে ভরা ফুলগুলোকে একটু প্রস্ফুটিত হওয়ার সুযোগ দিন। নানা নেতিবাচক মন্তব্যে তাদের অন্তর কেন ভেঙে দিবেন? আসুন মায়া ছড়াই