ব্র্যান্ডিং কনটেন্ট ডিজাইন টিপস

ব্র্যান্ডিং এর সাথে কমিউনিকেশান শব্দটা যেন গ্লু দিয়ে লাগানো। ব্র্যান্ডিং মানেই হচ্ছে কমিউনিকেশান- বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন কিছুর মাধ্যমে। আর কমিউনিকেশানের অবিচ্ছেদ্য পার্ট হচ্ছে কনটেন্ট। হতে পারে ভিজুয়্যাল কনটেন্ট, অডিও, রিটেনসহ অন্যান্য ফরমেটে। এছাড়াও ব্র্যান্ডিং প্রসেসে বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করা হয়। প্রতিটির ই উদ্দেশ্য যোগাযোগ স্থাপন করা- টার্গেটেড অডিয়েন্স এর সাথে, টার্গেটেড সেগমেন্টের সাথে।

এই ব্র্যান্ডিং এর প্রতিটি এলিমেন্টের জন্য বুঝে শুনে কনটেন্ট তৈরি করা হয়। যাতে ব্র্যান্ড আইডেনটিটি বা কনসিসটেন্সি ঠিক থাকে, টার্গেটেড অডিয়েন্স  কনফিউজ না হয়, ব্র্যান্ড ইমেজেরও কোন ক্ষতি না হয়। আর এই কনটেন্ট তৈরি করার বিভিন্ন নীতি থাকে, টেকনিক থাকে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে এর জন্য ডেডিকেটেড টিম কাজ করে, কিন্তু আপনার আমার ছোট প্রতিষ্ঠানে এখনই সেটা সম্ভব না। তবে আমাদের পক্ষেও সম্ভব সাশ্রয়ী বাজেটে ব্র্যান্ডিং কনটেন্টগুলো ডিজাইন করার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা।

কনটেন্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে যে রুলসগুলো খুবই হেল্পফুল হবেঃ

  • লেস ইজ মোর: কম কথায় কাজ হইলে বেশি কথার দরকার কি? এই কথাটি ব্র্যান্ডিং কনটেন্ট ডিজাইনে একটি কার্যকরি রুলস। কম কথায়, কম সময়ে স্পেসিফিক ম্যাসেজটি অডিয়েন্স এর কাছে সৃজনশীল ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। তবে এটা নট ইজি! বেশির ভাগ মানুষই বেশি কথায় কিছু একটা বুঝাতে সক্ষম , তবে কথা না বলে বা একেবারে অল্পকথায় বুঝাতে পারা একটা আর্ট। আর ব্র‌্যান্ড কমিউনিকেশানে এই রকম আর্টিস্টদের কথাগুলোকেই আমরা এ্যাড কপি বলি।
  • অডিয়েন্স সেন্ট্রিক: সবার কাছে মুলার জুস বিক্রি করতে চাইলে হবে না। ব্র্যান্ডিং এ টাগের্টেড অডিয়েন্স এর কাছে উপযুক্ত ম্যাসেজটি সঠিক ভাবে ট্রান্সমিট করতে হবে। সব ব্র্যান্ড এর ই স্পেসিফিক অডিয়েন্স সেট থাকে, তাদের একটা নিদির্ষ্ট পারসোনা থকে। সেগুলো বিবেচনা করেই কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি ডেভলপ করতে হবে।
  • কনসিসটেন্ট: অলরাউন্ডার ক্রিকেটারও ফর্ম হারায় যদি কনসিসটেন্সি না থাকে। আর ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে তো আরো উপযুক্ত কথাটা। আপনার প্রতিটি কমিউনিকেশানে একটা দৃশ্যমান ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। ব্র্যান্ডিং প্রসেসে কনটেন্ট সহ অন্যান্য যে কোন মুভমেন্টে 69 হওয়া যাবে না।
  • ক্রিয়েটিভিটি: ব্রান্ড কমিউনিকেশনে যে জিনিসটার কদর কখনও ফুরাবে না তা হলো ক্রিয়েটিভিটি। যে চ্যানেল ই আপনি ইউস করেন, যে চ্যানেলের জন্যই আপনি কনটেন্ট বানান- কনটেন্টটি ক্রিয়েটিভ হলে রিচ ও এনগেজমেন্ট হুহু করে বাড়বে।
  • ট্রিপল ই(ইইই): শুধু প্রচারের লক্ষ্য নিয়েই প্রচারণা করলে এখন ম্যাজিকাল এ্যানগেজমেন্ট পাওয়া যায় না। তাই এই ক্ষেত্রে এই ট্রিপল ই রুলসটা ফলো করতে পারেন। মানে আপনার কনটেন্ট টি হতে পারে এ্যাডুকেশনাল, ইমোশনাল বা এ্যান্টারটেইন টাইপের। আর হ্যাঁ অবশ্যই পজিটিভ ভাইব এর কনটেন্ট দেয়া ভালো, অডিয়েন্স ডিমোলিস এর ঝামেলায় পড়তে হয় না।
  • ফলো ব্র্যান্ড গাইড: ছোট উঠতি ব্র্যান্ড গুলো এই ভুলটা সবচেয়ে বেশি করে, বেশির ভাগ সময়েই ব্র্যান্ড গাইড ফলো করে না। আবার অনেকে তো কিছু বাড়তি খরচের জন্য ব্র্যান্ড গাইডলাইন ই তৈরি করে না। একটি ব্রান্ড গাইডলাইন ছাড়া আপনি কখনোই কমিউনিকেশানে কনসিসটেন্সি ধরে রাখতে পারবেন না, তাই অভিজ্ঞ ডিজাইনার দ্বারা অবশ্যই একটি ব্র্যান্ড স্ট্যাইল গাইড লাইন তৈরি করে নিন।

ব্র্যান্ড আইডেনটিটি ও ব্র্যান্ডিং গাইডলাইন তৈরির জন্য যোগাযোগ করতে পারেন, ফ্রি কনসালটেনসি দিতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।